মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:৫২ পূর্বাহ্ন
সুুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয়ে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া বলেন, যে সরকার ক্ষমতায় এসেছেন, তারাই উত্তরাঞ্চলে উন্নয়নের ক্ষেত্রে বৈষম্য করেছেন। সে কারণে উত্তরের মানুষ উন্নয়ন থেকে পিছেয়ে রয়েছেন। দায়িত্ব নিয়ে সেতুটির কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার তাগাদা দিয়েছি। সে কারণে সময়ের আগে এলাকার মানুষের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য সেতুটি উদ্বোধন করতে পেয়ে আমরা আনন্দিত। সেতুটির নামকরণ মওলানা ভাসানী সেতু করার পিছনে কারণ হচ্ছে, মওলানা ভাসানী বাংলার একজন মজলুম জননেতা। তিনি সব সময়ে মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য কাজ করেছেন। নদীর পানি সুসম বণ্ঠনের ক্ষেত্রে ভারতের আগ্রাসন শিকার তিস্তা পারের মানুষ। মওলানা ভাসানী সেতু চালু হওয়ায় কুড়িগ্রামবাসি অল্প সময়ের মধ্যে ঢাকা যাতায়াত করতে পারবেন। সেই সাথে এই এলাকার মানুষের জীবনমান এবং উন্নয়নের পথ অনেকটা সুগম হল। এখন থেকে কৃষি পণ্য সরবরাহসহ ব্যবসায়ীক ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হবে। সেতু এলাকায় শিল্প প্রতিষ্ঠান ও বিনোদন কেন্দ্র গড়ে উঠলে হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। কুড়িগ্রামবাসিকে আর রংপুর হয়ে ঘুরে ঢাকায় যেতে হবে না। এতে করে ১৩৫ কিলোমিটার দুরত্ব কমবে এবং সময় বাঁচবে চার ঘন্টা। উপদেষ্টা আরও বলেন সেতুর চিলমারি এলাকায় কিছু কাজ বাকী রয়েছে সেপ্টেম্বরের মধ্যে তা সম্পন্ন হয়ে যাবে।
গতকাল বুধবার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পাঁচপীরবাজার-কুড়িগ্রামের চিলমারি উপজেলা সদরের সঙ্গে সংযোগকারি সড়কে তিস্তা নদীর উপর ১ হাজার ৪৯০ মিটার মওলানা ভাসানী সেতুর (তিস্তা পিসি গার্ডার সেতু) উদ্বোধন উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় উপেরোক্ত কথাগুলো বলেন।
এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আব্দুর রশীদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রকল্প পরিচালক মোঃ আব্দুল মালেক, ডাইরেক্টটর জেনারেল অপ এশিয়া অপারেশনস ডঃ সৌউদ আইস আল সামরী, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজম আহমদ, এনসিপির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মোঃ আখতার হোসেন, গাইবান্ধা জেলা জামায়াতের সাবেক আমীর মোঃ আব্দুর রহিম, সুন্দরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মোঃ বাবুল আহমেদ।
প্রশাসনের অব্যবস্থাপনার কারণে উপদেষ্টা ফিতা কেটে উদ্বোধনের আগেই হাজার হাজার জনগণ প্রশাসনের ব্যরিকেট ভেঙে সেতুর ভিতরে প্রবেশ করেন। এরপর কোনমতে ফিতে কেটে উদ্বোধন করেন। এর আগে উপদেষ্টা সৈয়দপুর বিমান বন্দর হতে সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় আসলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। পরে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে দুপুরের খাবার খান।
উপদেষ্টার সফর সঙ্গী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টার একান্ত সচিব (যুগ্ম সচিব) মোঃ আবুল হাসান, সহকারী একান্ত সচিব মোঃ আয়মন হাসান রাহাত, জনসংযোগ কর্মকর্তা মোঃ সালাউদ্দিন, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মোঃ মাহফুজুল আলম ভূঁইয়া রংপুর অঞ্চলের তত্ত্বাবধায় প্রকৌশলী মোঃ আনিছুল ওয়াহাব খান, গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোযাজ্জম আহমেদ, গাইবান্ধার এলজিইডির নিবার্হী প্রকৌশলী, উজ্জ্বল চৌধুরী, সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নিবার্হী অফিসার রাজ কুমার বিশ্বাস, সচিবের একান্ত সচিব মোঃ আব্দুল্লাহ আল নোমান সরকার, উপজেলা প্রকৌশলী তপন কুমার চক্রবর্তী প্রমূখ।